ভালুকগাছি চকপাড়া গ্রামে যাওয়ার পথে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকেই বোঝা যায় পাশে কোনো একটা পাখির অভয়ারণ্য রয়েছে। পাখির এলোপাতাড়ি ওড়াউড়ি দূর থেকেই নজর কাড়ে। বাগানে কত পাখি আছে তার হিসাব করতে না যাওয়াই ভালো। ডালে ডালে পাতায় পাতায় পাখি বসে আছে। ডাকাডাকি করছে। তখন চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। বাগানের গাছে নিচের লতাপাতা-ঘাস সবকিছু পাখির বিষ্ঠা আর পালকে সাদা হয়ে গেছে। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে বাগানের ভেতরে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে এই বাগানকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বাগানের সিংহভাগ পাখিই শামুকখোল। এ ছাড়া রয়েছে বক, পানকৌড়ি ও দেশীয় জাতের পাখি। পাখিরা এখানে ডিম দিচ্ছে। বাচ্চা ফোটাচ্ছে। এমনকি আবদুল হামিদের বাড়ির পাশের গাছগুলোতেও গিয়ে পাখিরা বসবাস করছে।
দর্শনার্থীরা বলেন, ‘বাগানের ভেতরে ঢুকে মনে হচ্ছে যেন অন্য কোনো ভুবনে প্রবেশ করেছি। এটা একান্তই পাখির রাজ্য। কিচিরমিচির আর কলকাকলিতে মুখরিত এই এলাকায় বাইরের কোনো শব্দই কানে আসছে না। পাখিরা আমাদের জাতীয় সম্পদ। ওদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। আর এখানে পাখি আছে বলেই প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে এত মানুষ আসে।
যাওয়ার মাধ্যম : রাজশাহী জেলা সদর হতে সড়ক পথে পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ মাজার নামক স্থানে নেমে সেখান থেকে ১০-১২ কিলোমিটার উত্তরে ভালুকগাছী চকপাড়া অবস্থিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস